ঢাকা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন ঠান্ডা পানিতে গোসলের উপকারিতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৫
  • ২৭১ বার

ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শুধুমাত্র ফ্রেশ হওয়া নয়, সঙ্গে মিলবে অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান৷ আসুন দেখে নেওয়া যাক ঠান্ডা পানিতে গোসলের কি কি উপকারিতা আছে:

১. দেহের রক্ত প্রবাহমাত্রা বাড়িয়ে দেয়: মানুষের ত্বক ঠাণ্ডা জলের স্পর্শ পাওয়া মাত্রই সঙ্কুচিত হয়ে আসে। কারণ এসময় ত্বক কিছুটা তাপমাত্রা হারায়। ফলে রক্ত চলাচল কিছুটা ধীর গতিতে হতে থাকে। আবার এ কারণেই রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং শিরা-উপশিরায় দ্রুত গতিতে ধাবিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত রক্ত চলাচল আরও বেড়ে যায়।

২. পুরুষের শুক্রাণু পরিপূর্ণতা পায়: অনেকেই হয়তো এ তথ্যটি জানেন না। ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি পায়। কারণটি হলো, পুরুষের বীজাণু ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় দ্রুত পরিপূর্ণতা লাভ করে। আবার অনেকক্ষেত্রে বিপরীতটাও ঘটে। অর্থাৎ, গরম জল শুক্রাণু বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। তবে তা এর জন্মকে বাধাগ্রস্ত করে না।

৩. সহজাত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধির সুফল: ঠাণ্ডা পানি গায়ে ঢাললে শীত লাগে। কারণ ত্বক তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা হারায়। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে মানাসই হতে তখন দেহ নিজেই তাপ উৎপন্ন করে। এর জন্য কিছু কার্বহাইড্রেট পোড়াতে হয়। গোটা ঘটনা দেহের সহজাত রাসায়নিক প্রক্রিয়া। আর এই রাসায়নিক প্রক্রিয়াটিকে সচল রাখা ভাল।

৪. প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: রক্তের শ্বেত কণিকা বাড়াতে চাইলে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। ঠাণ্ডা ত্বক নিজেই তাপ উৎপাদনের সময় অধিক পরিমাণে শ্বেত কণিকার জন্ম দেয়। আর রক্তের এ কণিকা হলো আপনার দেহের সেনাবাহিনী। যেকোনো রোগের আক্রমণ ঠেকাতে এরাই যুদ্ধ করে।

৫. পেশীর ক্ষত নিরাময় করে: পরিশ্রমের সময় পেশীর কাজ হয়। তখন এর সূক্ষ্ম টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদের আবার পূর্বের সুস্থতা ফিরিয়ে দিতে বিশ্রামের দরকার। ঠাণ্ডা জল পরিশ্রমের পর পেশীকে আরাম দেয়।

৬. দেহের স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনে: ঠাণ্ডা জল মুহুর্তেই দেহে সজীবতা ফিরিয়ে আনে। যাদের ঘুমের সমস্যা হয় তারা উপকার পেতে পারেন।

৭. অন্যান্য উপকারিতা: পুরনো কিছু ব্যাথা কমে আসতে পারে, চুলকানি দূর হয়, চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়, দেহের অস্বস্তিকর উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং কিছু স্নায়বিক দুর্বলতা দূর হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জেনে নিন ঠান্ডা পানিতে গোসলের উপকারিতা

আপডেট টাইম : ১০:০৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৫

ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শুধুমাত্র ফ্রেশ হওয়া নয়, সঙ্গে মিলবে অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান৷ আসুন দেখে নেওয়া যাক ঠান্ডা পানিতে গোসলের কি কি উপকারিতা আছে:

১. দেহের রক্ত প্রবাহমাত্রা বাড়িয়ে দেয়: মানুষের ত্বক ঠাণ্ডা জলের স্পর্শ পাওয়া মাত্রই সঙ্কুচিত হয়ে আসে। কারণ এসময় ত্বক কিছুটা তাপমাত্রা হারায়। ফলে রক্ত চলাচল কিছুটা ধীর গতিতে হতে থাকে। আবার এ কারণেই রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং শিরা-উপশিরায় দ্রুত গতিতে ধাবিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত রক্ত চলাচল আরও বেড়ে যায়।

২. পুরুষের শুক্রাণু পরিপূর্ণতা পায়: অনেকেই হয়তো এ তথ্যটি জানেন না। ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি পায়। কারণটি হলো, পুরুষের বীজাণু ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় দ্রুত পরিপূর্ণতা লাভ করে। আবার অনেকক্ষেত্রে বিপরীতটাও ঘটে। অর্থাৎ, গরম জল শুক্রাণু বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। তবে তা এর জন্মকে বাধাগ্রস্ত করে না।

৩. সহজাত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধির সুফল: ঠাণ্ডা পানি গায়ে ঢাললে শীত লাগে। কারণ ত্বক তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা হারায়। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে মানাসই হতে তখন দেহ নিজেই তাপ উৎপন্ন করে। এর জন্য কিছু কার্বহাইড্রেট পোড়াতে হয়। গোটা ঘটনা দেহের সহজাত রাসায়নিক প্রক্রিয়া। আর এই রাসায়নিক প্রক্রিয়াটিকে সচল রাখা ভাল।

৪. প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: রক্তের শ্বেত কণিকা বাড়াতে চাইলে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। ঠাণ্ডা ত্বক নিজেই তাপ উৎপাদনের সময় অধিক পরিমাণে শ্বেত কণিকার জন্ম দেয়। আর রক্তের এ কণিকা হলো আপনার দেহের সেনাবাহিনী। যেকোনো রোগের আক্রমণ ঠেকাতে এরাই যুদ্ধ করে।

৫. পেশীর ক্ষত নিরাময় করে: পরিশ্রমের সময় পেশীর কাজ হয়। তখন এর সূক্ষ্ম টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদের আবার পূর্বের সুস্থতা ফিরিয়ে দিতে বিশ্রামের দরকার। ঠাণ্ডা জল পরিশ্রমের পর পেশীকে আরাম দেয়।

৬. দেহের স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনে: ঠাণ্ডা জল মুহুর্তেই দেহে সজীবতা ফিরিয়ে আনে। যাদের ঘুমের সমস্যা হয় তারা উপকার পেতে পারেন।

৭. অন্যান্য উপকারিতা: পুরনো কিছু ব্যাথা কমে আসতে পারে, চুলকানি দূর হয়, চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়, দেহের অস্বস্তিকর উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং কিছু স্নায়বিক দুর্বলতা দূর হয়।